• ঢাকা
  • শনিবার, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ১৬ আগষ্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

তেগাছিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজের দুইপাড়ের মাটি  ধসের কারণে যানচলাচল বন্ধ   


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগষ্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৩৬ পিএম;
তেগাছিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজের দুইপাড়ের মাটি  ধসের কারণে যানচলাচল বন্ধ   
তেগাছিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজের দুইপাড়ের মাটি  ধসের কারণে যানচলাচল বন্ধ   

 .

নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ):টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর তেগাছিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজের দুইপাড়ের মাটি  ধসে পড়েছে। এতে স্থানীয় তেগাছিয়া বাজারের সঙ্গে টাংকি বাজার, চেয়ারম্যান ঘাট এমনকি দক্ষিণাঞ্চলীয় নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় প্রবেশে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে । গত (২৮ জুলাই ) ভোরে জোয়ারের তীব্র স্রোত ও বৃষ্টির প্রবল বর্ষণের ফলে ব্রিজটির দুইপাশে থাকা সড়কের  মাটি সরে যায়। পরে খালের পানির স্রোতের তোড়ে দুইপাশে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়।  শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) সকালে সরজমিন গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের দুইপাশের মাটি সরে গিয়ে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে যানচলাচল সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষদের তেগাছিয়া বাজার, মৎস অবতরণ কেন্দ্র  এবং স্থানীয় তেগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।এদিকে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও মেরামতে সরকারি বা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোনো ধরনের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।.

 .

 .

যে কারণে স্থানীয়রা,ব্যক্তি পর্যায়ে চাঁদা উত্তোলনের অর্থে কাঠের মই তৈরি করে বিচ্ছিন্ন হওয়া ব্রিজের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন। এতে জনসাধারণের সাময়িক চলাচলের ব্যবস্থা হলেও যানবাহন চলাচল সচল করা যায়নি। স্থানীয় তেগাছিয়া বাজার ব্যবসায়ী আলমাস কবীর ও জয়নাল আবেদীন সহ কয়েকজন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত   ব্রিজটির দুইপাশের মাটি সরে গিয়ে বড়ো ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়। জোয়ারের পানি ওঠানামার স্রোতের ধাক্কায়  ব্রিজের দুইপাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা অন্তত ৮টি দোকান ইতোমধ্যে খালের ভাঙণে পতিত হয়েছে। খালের ভাঙন পুলিশ ফাঁড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিজের দুইপাশের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান তারা।.

 .

 .

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আবদুল আলিম পরশ বলেন, সড়ক থেকে ব্রিজে প্রবেশদ্বারের মাটি ধসে পড়ায় ওই এলাকার  সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রোগীসহ সব ধরনের লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ধসে যাওয়া অংশটিতে কাঠের মই দিয়ে আপাতত লোকজন চলাফেরা করতে পারছে। তবে এটা সাময়িক উদ্যোগ, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানের জন্য সরকারি বরাদ্দ দিয়ে সড়কটি দ্রুত মেরামতের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।   স্থানীয় শিক্ষার্থী আরিফ মাহমুদ বলেন, ব্রিজের দুইপাশের মাটি সরে গিয়ে চলাচল অনুপযোগী হওয়ার পর উপজেলা থেকে অফিসাররা আসছেন ঠিকই, কিন্তু চলাচল সচলে সড়কটি মেরামত করার কোনো ধরনের উদ্যোগবগ্রহন করেননি তারা। তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয়দের থেকে চাঁদা কালেকশন করে দুইপাশে কাঠের মই সংযুক্তি করা হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচল সম্ভব না হলেও সাধারণ মানুষ চলচল করতে পারছেন। তবে ব্রিজের দুইপাশের গর্ত ও ভেঙে যাওয়া অংশে দ্রুত সময়ে জিওব্যাগ ড্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে মেরামতে করার অনুরোধ জানান এই শিক্ষার্থী ।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) রামগতি উপজেলা প্রকৌশলী স্নেহাল রায় বলেন, রামগতি-.

 .

বয়ারচর সড়ক ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, সড়কটি অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। ওই অঞ্চলে একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র রয়েছে। । দ্রুত সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবগত করা হয়েছে।.

 . .

ডে-নাইট-নিউজ /

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ